ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় দুই শততম জন্মদিবসে......অমিতাভ দত্ত

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় দুই শততম জন্মদিবসে.....
অমিতাভ দত্ত।
ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় দুই শততম জন্মদিবসে......অমিতাভ দত্ত



যদি মনে করেন , দেশটার সবই ঠিকঠাকই চলছে , তাহলে তো আর শুধুশুধু ; কথা বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই। আর যদি বলেন না, ঠিক তো চলছেই না, উল্টে দেশটা দিনকে দিন দ্রুতগতিতে রসাতলে যাচ্ছে। অর্থাৎ সমগ্র মনুষ্য সমাজ ধ্বংসের দিকে চলেছি। তা হলে তো কিছু করতে হয়, নয় কি ? তাহলে তো, ভাবতেও হয়, নয়কি? ঠিক নয় কি, একটুখানি সিরিয়াসলি ভেবে বলুন না? আশা করি, ঠিকঠাক চলছে না, এ বিষয়ে আমরা প্রায় সবাই একমত। এখান থেকেই চলে এলো দায়বদ্ধতা, এবং , কার্যকরী পদক্ষেপর আলাপ আলোচনার ভিত্তিভূমি। এই জিরো পয়েন্টে দাড়িয়েই, শূণ্য
থেকেই শুরু করার প্রশ্ন। এ অভাব-অনটন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকার সমস্যা, বন্ধ কলকারখানার সমস্যা, কৃষি সমস্যা, সাম্প্রদায়িক সমস্যা, জাতপাতের সমস্যা, প্রাদেশিকতার সমস্যা, ঘুষ-দুর্নীতি ভেজাল সমস্যা, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃতিকে লুন্ঠন করে নিঃশেষ করার সমস্যা, প্রাকৃতিক পরিবেশকে দিনকে দিন নষ্ট করে ফেলার সমস্যা,
এ রোগ, এ আমলের নয়,
এ বীমারী,বিগত ঐ জামানার,
ঐ ঐ জামানার, আরো পিছিয়ে, আরো আরো পিছিয়ে ঐ ঐ জামানার .......
ঐ ঐ ঐ ঐ জামানার আরেব্‌-বাপরে, দ্যাট্‌ ইজ্‌ সিস্টেম। ভোট দিয়ে আমরা শুধুমাত্র ড্রাইভার বদলায়, শুধু সুস্থ সমাজের আশায়। কিন্তু, শুধুমাত্র রাগ ঝাড়া হয়, আর, ঝাল ঝাড়া হয় মাত্র, রোগ কিন্তু সারে না, খালি, দাঁড়িপাল্লার ফের.....মাত্র। এই ব্যবস্থার মধ্যে , কোই ইলাজ্‌ নহি হ্যায় বাবুসাব্‌, কুর্সি পানেকে লিয়ে,খালি হাওয়া গরম করতা হ্যায় ইয়ে সিস্টেম.........., পাঁচ বছর পর পর ভোটের অর্থ হলো গিয়ে এই সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখা। ভোট ব্যবস্থার মাধ্যমে কখনোই শ্রেণীহীন সমাজ গড়া সম্ভব নয়। দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থা গঠন করতে হলে বা সমাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ভোট ব্যবস্থার ভিতর দিয়ে হয় না, এবং তা কখনো সম্ভব নয়, একথা পরীক্ষিত সত্য।
একবার শোচিয়ে তো, দেশের
প্রাইমারী এডুকেশন কে বারেমে! সারাদেশ জুড়েই স্কুল এবং বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই স্কুলগুলো ঠিক ঠাক চলছে কিনা, কার দেখার কথা ? দূর দূরান্তে, গ্রামে গ্রামে,
শহরে শহরে, পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে রয়েছে, এই সরকারী এবং বেসরকারী স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পার্টিকুলারলি, সারাদেশের এই সমস্ত স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছেন , সেই সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা, আর টিচার ইনচার্জ। আর , প্রত্যেক স্কুলেই রয়েছে স্কুল পরিচালন কমিটিও। তারপরেও সরকারি ভাবে দেখভালের ব্যবস্থাও আছে। এই যেমন ধরুন, D.I. , S.I. , B.D.O. প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, শিক্ষামন্ত্রী, এবং শিক্ষাবন্ধু। শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ফাঁকিবাজি, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের, আর, টিচার ইনচার্জদের দুর্নীতি, ফাঁকিবাজি,(সবাই নয়,) কথাটি লিখতে হবে বোধহয়, তাইনা! কতিপয়, লিখতে হবে, তাইনা! বিশেষতঃ প্রায় বলা যায়, সিংহভাগ প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, আর,টিচার ইনচার্জরা যে, কীর্তিকলাপ, কীর্তিকান্ড চালিয়ে আসছে, এবং, চালাচ্ছে, এবং চালিয়েই আসছে, এবং ,আসছেই, তা শুধু , আজকের জামানায় হচ্ছে, তা নয় কিন্তু, এটা বহু পুরাতন ক্রনিক ডিজিজ্‌। এই
লটরপটর লটপটানি চাল, এই রাষ্ট্র ব্যবস্থারই অঙ্গ। প্রতিটি দপ্তরে দপ্তরে এই দুর্নীতি, এই শঠতা, এই চাতুরী, এই প্রতারণা চলে আসছেই বহু কাল থেকেই, বহু যুগ ধরেই, কোন সেই আবহমানকাল থেকেই। কারণ এটা এই সিস্টেমেরই সৃষ্ট চালচরিত্র।গুটিকয় ভালো মানুষ দিয়ে, গুটিকয় সৎ মানুষ দিয়ে তো আর, সমগ্র সমাজটা সুন্দর হয়ে যেতে পারে না,গুটিকয় ভালো হয়তো , আছে, তাতে কিছুই হেরফের হবে না, হতে পারে না। এটা কোনো বিশেষ সরকারের সময়ের সমস্যা নয়। ইয়ে বহুত পুরানা বেমারী হ্যায় বাবুজী, বহুত পুরানা হ্যায়। ইয়ে বহুত-ই পুরানা কিস্‌সা হ্যায়। ইত্‌নাহী খালি অন্তর হ্যায়, কোই জমানা ম্যে,
শো গারাম্‌ চোরি, তো, কোই জামানা ম্যে, দো-শো গারাম্‌ চোরি, নেহী তো কোই জামানা ম্যে পচাশ গারাম্‌ চোরি, খালি ইত্‌নাহী অন্তর। চুরি ঘুষ দুর্নীতি চলছেই। সরকারী কাজে বহাল, আর, সরকারি নির্দেশ মানবো না, এ কিরকমের শয়তানী! সরকারি নির্দেশ মতো সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, সঠিক সময়ে, নির্ধারিত সময়ে, বিদ্যালয় পরিত্যাগ না করা, স্কুল ছুটির আগেই বাড়িতে চলে যাওয়া, স্কুলে না এসে পরের দিনে হাজিরা খাতায় হাজিরা করে দেওয়া, অর্থাৎ, স্বাক্ষর করে দেওয়া, ব্যাঙ্কের কাজ আছে বলে বাড়ি চলে যাওয়া, S.I. অফিসে কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যাওয়া, স্কুল কন্টিজেন্সি টাকা খরচ না করে পকেটে ভরে নেওয়া,চক না কেনা, ডাস্টার না কেনা, বৎসরের সরকারের থেকে দেওয়ার টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল এর টাকা গায়েব করে দেওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি এরকমের আরও ভুরিভুরি উদাহরণ আছে। সততা সম্পন্ন সৎ শিক্ষক যিনি পড়াতে চান, কাজ করতে চান, সেই শিক্ষককে পাগল করে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে, আর অসৎ প্রতারক ঠগবাজ ফাঁকিবাজ দুর্নীতিগ্রস্ত চরিত্র ভ্রষ্ট শিক্ষককে বাঁচাবার ব্যবস্থাও আছে ; এই সিস্টেমের মধ্যেই। কে বা কারা এসমস্ত চালিয়ে আসছে, বা করে রেখেছে, এরকম অবস্থাটা চলেই আসছে, তার যদি অনুসন্ধান না চালান, তাহলে মৃত্যু। শিক্ষাব্যবস্থারই শুধু মৃত্যু নয়, সমগ্র মনুষ্য সমাজের মৃত্যু। এই সমস্ত বদমায়েশি অভ্যেস হয়ে গেছে বলা যায়, এবং তা একটা স্বাভাবিক রীতি রেওয়াজ হয়ে গেছে বলা যায়। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প শুরুর সাথে সাথেই , এই দুর্নীতি একেবারেই, এক লাফে ধপাস করে, ঝপাং করে, ঝুপুং করে, এক্কেবারেই ধড়াস করে, ধড়মড় করে, এক লাফে বেড়ে গেছে। তিন কিলো করে প্রতি ছাত্রছাত্রীদের চাল দেবার সময় থেকেই, বিদ্যালয়গুলিতে
চুরি, দুর্নীতি, ফাঁকিবাজির এবং নৈতিক অধঃপতনের খেলা, অনৈতিক লোভের লোভের খেলাটা, মারাত্মক রকমের বেড়ে গেছে। এই অধম, সবই দেখেছে এবং শুনেছে, এবং সবই দেখে শুনে ভুগে, প্রতিবাদ করার ফলে অত্যাচারিত, এবং মানসিক শারীরিক দুই রকমেরই নির্যাতনের মধ্যেই আছি। আজ থেকে আঠারো বছর আগেই থেকেই এসমস্ত নোংরামি দেখে ফেলেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষাঙ্গনে, মিড ডে মিলের টাকা , স্কুল রিপেয়ারিংয়ের টাকা , স্কুল কন্টিজেন্সির টাকা, টিচিং লার্নিং ম্যাটেরিয়ালের টাকা,
কিভাবে কি হয়, কে কে ভাগ মারে, আজ থেকে আঠারো বছর আগেই আমার , অর্থাৎ,
এই অধম লেখকের জানা হয়ে গেছে। সরকারি নোটিশে
বলা ছিল, আগের জামানায়,
সাড়ে দশটা থেকে, বেলা তিনটে পর্যন্ত স্কুল চলবে, তারপর, সাড়ে দশটা থেকে, সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বিদ্যালয় চলবে সরকারি নির্দেশ দেওয়া হল, এবং এটাই ডিউটি আওয়ার ছিল। বর্তমান সরকার নোটিশ দিলেন , দশটা পঁয়ত্রিশ মিনিট
থেকে, বৈকাল চারটা পর্যন্ত।
এই সময় সূচি কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে।যাইহোক কিন্তু , সেকালেই বলুন, আর, একালেই বলুন, একটা স্কুলও চলে না। এটা মিথ্যা বলছি কিনা, পাঠক এবং ছাত্রছাত্রীদের মা বাবা অভিভাবকেরা এবং পাড়া প্রতিবেশীরা, একটু যাচাই করেই দেখুন না, সত্যাসত্য। এ শুধুমাত্র, শুধুই আমাদের
রাজ্যেরই সমস্যা নয়। এ সমস্যা, সারা দেশের সমস্যা।
বলুনতো,অন্ততপক্ষে, সাধারণ মানুষ শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে, সততা আশা করা কি ,খুবই অন্যায় হবে। চুরি, দুর্নীতি আটকাতে , বন্ধ করতে, যে কোনো আসীন সরকারকে যদি দপ্তরের পর দপ্তর খুলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালতে হয়, আর, লোক নিয়োগ করার পরে, সেও যদি অসৎ হয়, তাহলে? পাহারাদার আর চৌকিদার রাখতে রাখতেই তো , ভাঁড় খালি হয়ে যাবে। কতো কতো লোক নিয়োগ করবেন, কতো কমিশন বসাবেন, শুধুমাত্র দুর্নীতি চুরি দেখার জন্য, আর ধরার জন্য ? দেখনেওয়ালার পিছনে, আরেক; দেখনেওয়ালা , সেটাই কি একমাত্র বাঁচার উপায়, মুক্তির পথ! যাদের দেখার জন্য সরকার নিয়োগ করেছেন, সেই ব্যক্তি মানুষটি যদি অসৎ হন, তাহলে হবে, চলবে ? এই পদ্ধতিতে যদি উপায় হতো,তাহলে তো , আমার দাদু দিদা, বাবা মা-ই দেখে যেতে পারতেন সুন্দর ব্যবস্থা, এবং সুন্দর ভালো বন্দোবস্তটা, ভালো ব্যবস্থাটা। আসলে প্রশ্নটা হচ্ছে গিয়ে, সততা। সততাহীনতা দিয়ে দেশ তো দূরের কথা, একটি পরিবারও চলতে পারে না । তাহলে মানুষের মনে লোভের জন্ম হয় কিভাবে? মানুষের মনে হিংসার জন্ম হয়, কিভাবে? কোথার থেকে মানুষের মনে অসততার জন্ম হচ্ছে? মানুষের মনে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম হচ্ছে কিভাবে? অমানবিকতার জন্ম বা উন্মেষ ঘটছে কিভাবে? এর ভিত্তিভূমিটাই বা কি, এবং
কোথায়? বাচ্চার পেটের চাল বিক্রি করার চিন্তা আসছে কিভাবে? শিক্ষক সমাজের অসুস্থ যৌন কীর্তিকলাপের খবরও তো, খবরের কাগজে দেখছি এবং টিভি তে শুনছিও। এ নিয়ে গভীর ভাবে ভাবনা চিন্তা করার কি ,সময় হয়নি এখনো ! প্রথম কথা হলো গিয়ে,এরা যদি অসৎ হয়, লোভী হয়, ফাঁকিবাজ হয়,মারবো মারবো বাগাবো বাগাবো মানসিকতার হয়, তাহলে স্কুল চলবে? কোনো একটাও প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবে চলবে ! যে কোনো সরকারই আসুক না কেন, এই অসৎ মানুষগুলো তো, সে সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দেবে! বহু সরকারই আমরা ভোট দিয়ে বদল করলাম, কিন্তু, কি ফল পেয়েছি আমরা? এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা তো, যে কোনো সরকারকেই পাগল করে দেবে! আবার এই সমস্ত,
প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা আর টিচার ইনচার্জরা ঠিকঠাক স্কুল চালাচ্ছে কিনা,তা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন ঐ মাথা ভারী প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তর।
দপ্তর চালানো আধিকারিক
মানুষগুলো ঠিকঠাক দেখভাল করেন তো? তারা সকলেই সৎ মানুষ তো? শিক্ষা বন্ধুরা ঠিকঠিক রিপোর্ট দেয় তো! S.I.অর্থাৎ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, এবার এরাও যদি ফাঁকিবাজ হয়, দূর্নীতিগ্রস্থ হয়,মারবো মারবো বাগাবো বাগবো লিবো লিবো মানসিকতার হয়, তাহলে
কিভাবে চলবে? চলবে?ভাবতে পারেন, শিক্ষবন্ধু শিক্ষমিত্ররাও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে যুক্ত। আরও জানলে অবাক হয়ে যাবেন, স্কুল সংলগ্ন মুদিখানার দোকানদার, এমনকি রাঁধুনীরা পর্যন্ত মিড ডে মিলের চুরির সাথে যুক্ত। তা কি এমনি এমনিই মনে করেন নাকি ! একেবারেই শুধু শুধুই ভাবছেন নাকি! কিছু লেনদেন
নেই, এমনটাই ভাবছেন নাকি? বাচ্চাদের ভালো ভাবে খেতে না দিয়ে, ভাত ডাল তরকারী বালটিতে ভরে বাড়িতে নিয়ে চলে যায়, এই রাঁধুনি্রা। তবে বলুন তো দেখিনি একবারটি, এভাবে কি সমাজটা চলতে পারে নাকি? আমরা কি তাহলে, সবাই চোর হয়ে যাবো? দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে যাবো? ঘুষখোর হয়ে যাবো? চিটিংবাজ হয়ে যাবো? লুটেরা হয়ে যাবো? মিথ্যেবাদী হয়ে যাবো ? গরীব রাঁধুনীগুলোকে পর্যন্ত চুরির সাথে যুক্ত করে মুখ বেঁধে, প্রতিবাদহীন করে ফেলেছে।
সৎ কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা 
প্রতিবাদ করতে গেলে, সবাই মিলে উল্টে তাঁকেই ফাঁসিয়ে, মুখে কালি মাখিয়ে ছেড়ে দেবে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেবার ব্যবস্থাও আছে। খুব গোপনে তদন্ত করুন, একটা অক্ষরও অসত্য আছে, কি না। এ সমস্ত সব বেমারীগুলো আগের জামানা থেকেই চলে আসছে। এই দুর্নীতিবাজদের শক্তি, ভীষণ শক্তি, চক্রান্ত করে,সরকার ফেলে দবারও শক্তি ধরে এরা। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন, অনেক কাল আগেই হয়ে গেছে। মাসলস্‌ পাওয়ার আর মানি পাওয়ারের দ্বারা পরিচালিত হয় এখানে , এবং তা বহুকাল যাবৎ-ই চলে আসছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে এরা অনেক কাল আগেই কব্জা করে ফেলেছে। ঠিক বিদ্যালয়গুলিতেও,ঐ কীর্তিকলাপই চলে আসছে। ছাত্রছাত্রীদের আতঙ্কিত করে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ধরে রাখা হয়, চুপ করিয়ে রাখা হয়। আর কতদিন, কতকাল, এসমস্ত চলতে দেবেন?এই পরিকাঠামোরই মধ্যেই, অন্ততপক্ষে শিক্ষক শিক্ষিকারা সততার নিদর্শন হিসেবে, সততার উদাহরণ হিসেবে,সমাজের বুকে দেখার আশা করতে পারিনা ? বাঁচতে পারি না ,সততার প্রতীক হিসেবে,উদাহরণ হতে পারি না কি ? এ আশা করাটা কি, খুবই অন্যায় হবে? অন্ততপক্ষে শিক্ষক সমাজের কাছে এইটুক আশা করা কি, অন্যায় আশা! এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই তো,
অন্ততপক্ষে কিছু সংখ্যক মানুষ হলেও, আগামী দিনের সমাজের মানুষের মুখ হিসেবে
তৈরী হতে হবে, মজুদ থাকতে হবে, উপস্থিত থাকতে হবে, নয়কি, একটু বলুনতো।
বড়ো মাপের মানুষের জীবনী পড়ার প্রয়োজনীয়তা তো এইখানেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। শিশুরা কিভাবে প্রকৃত মানুষ হবে! এরাই আবার করবে আন্দোলন! সততাহীন আন্দোলন তো, সাধারণ গরীব দুখী, কম ইনকামের মানুষের সাথে, একরকমের গাদ্দারি করা। আমি আমার বেতন বাড়িয়ে নিলাম, আর, বাকীরা মরুকগে, নাকি! দিনকে দিন, মুহূর্তে মুহূর্তে পলকে পলকে, আমরা দয়া মায়া স্নেহ ভালোবাসা মমতাহীন অমানবিক হয়ে উঠছি। ছাত্রছাত্রীরা কার কাছে, কোথায় গিয়ে বাঁচবে ! তাহলে প্রশ্নটা হচ্ছে গিয়ে,–সততা। এখানেই ব্যক্তিগত সততার প্রশ্নটাই-ই ,সব থেকে বড়ো প্রশ্ন। বৈষম্য শোষণ আছে বলে কি , সবাই আমরা চোর , দুর্নীতিগ্রস্থ,ফাঁকিবাজ হয়ে যাবো! অসৎ হয়ে যাবো? আর,সততাহীন মানুষগুলো আন্দোলনের নামে, ঠেলাঠেলি করবে আর শুধুমাত্র বেতন বাড়ানোর অর্থনৈতিক আন্দোলনের মধ্যেই ঘুরপাক খাবে! শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দাবী দাওয়ার আন্দোলন করে, বেতন সময়িকভাবে বাড়িয়ে নিলে, কি হবে! বাজার, তো দেখছে, সবই তো নজর রাখছে, সে তো আন্দোলন করে বাড়ানো টাকা কেড়ে নেবার জন্য বসে আছে। ব্যবসাদাররা জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে দেবে।আন্দোলন করে বাড়ানো টাকা বাজার কেড়ে নিয়ে, বাজারে ঢুকিয়ে নেবে। রোজ আনে, রোজ খায় , সে মানুষগুলোর তো বেতন বাড়লো না, তারা ঐ হাই মার্কেটে জীবন অতিবাহিত করতে পারবে তো! কেনাকাটা করতে পারবে তো? শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দাবী দাওয়ার আন্দোলনের অর্থ, গরীব জনতার সাথে, বিশ্বাস ঘাতকতা করা। সঠিক আদর্শের রাজনীতির রাজনৈতিক দিশা ছাড়া, শুধুমাত্র অর্থনৈতিক আন্দোলন আর কতদিন?সমস্ত অফিসে অফিসে, দপ্তরে দপ্তরে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায় শিরায়, ঘুষ দূর্নীতি চুরি ফাঁকিবাজি জমাট বেঁধে আছে। তাহলে একটা কড়া ওষুধের দরকার বোধ করছেন, তাইতো? কড়া ওষুধ দেবার জন্য, সিধা করার জন্য, যে মানুষগুলো আসবে, বা, পাঠানো হবে, তারাও যদি অসৎ হয়, বা, ওদেরকেও লোভনীয় লোভ দেখিয়ে, যদি ওদেরকেও বানিয়ে নেয়, তাহলে তখন কোথায় যাবেন, বলুনতো!? কোন্ আমলে, কোন্ যুগে এ সমস্ত ছিল না!।কিন্তু যে বিষয়টি গত চল্লিশ বছর যাবৎ ভীষণ ভাবে পীড়াদায়ক হয়ে উঠেছে, শুধুমাত্র, এটুকুই বলা যেতে পারে, তা হলো গিয়ে, এই শিক্ষার বেহাল অবস্থাটা। এবং একথাটাও অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সার্বিকভাবে ভাবে ভাবনা চিন্তা করার কাজটি আমাদের করতে হবে, সমগ্র মানব জাতির মুক্তির কথাটা ভাবতে হবে। এ ছাড়া এই পরিকাঠামোয়, এই সিস্টেমে, এই ব্যবস্থায়, এই বন্দোবস্তের মধ্যে কোনো উত্তর নেই। শিক্ষাখাতে সরকারি টাকা যে
ব্যয় হয়, তা আবার ফিরে গিয়ে জমা হচ্ছে কোথায়? বিভিন্ন প্রকল্পের উড়ন্ত টাকাগুলো, আবার কোথায় গিয়ে,কার হাতে গিয়ে পড়ছে? কোথায় গিয়ে ঐ টাকা জমছে? পুনরায় আবার গিয়ে বাজারেই ফিরে আসছে।ঐখানেই, ঐ বাজারেই ,ঐ
বাজারওয়ালারাই দূর্নীতিগ্রস্থ, লোভী, ঘুষখোর, কামানেওয়ালা, ফাঁকিবাজ,
ফুর্তিবাজ ,মৌজমস্তিবাজ ,
চরিত্রহীন ইত্যাদি ইত্যাদি রকমের মানুষ তৈরী করে নেয়, বানিয়ে নেয়, তাছাড়া তো, ওদেরও তো উটকো ইনকাম বন্ধ। শিক্ষাও এই বাজারের বাইরে নয়, সারা বিশ্ব জুড়েই এক বিশাল মার্কেট, বিশাল লাভের বাজার। যখন স্কুলে স্কুলে তিন কিলো করে চাল দেওয়া হতো, তখনও বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা ,আর টিচার
ইনচার্জরা কামিয়েছে। 
মিড্ ডে মিল চালু হওয়ার পর থেকে তো ,তা সোনায় সোহাগা অবস্থা। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প চালু হওয়ার পরে আরও বেশি বেশি কামাবার সুযোগ এসেছে। স্কুল মেইন্টেন্যান্স, এবং স্কুল রিপেয়ারিং বাবদ যে টাকা, বছরে প্রতিটি স্কুল পেয়ে আসছে, তার সিংহভাগ টাকা, কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্থ , লোভী, কামানেওয়ালা প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা এবং টিচার ইনচার্জরা মেরে নেয়।
এসমস্ত কীর্তিকাণ্ড এ তো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, কি ভাবছেন, ছাত্রছাত্রীরা, অভিভাবকরা , সাধারণ মানুষ, প্রসাশন , দপ্তর কিছুই 
জানেনা !? সবাই সব কিছুই জানে। আমার দাদু দিদা ঠাম্মা, বাবা মা ,সবাই জানত।আমিও জানি, আর, আপনারাও জানেন। শিক্ষাবন্ধু, S.I.অর্থাৎ স্কুল
পরিদর্শক, মিড্ ডে মিল 
দেখাশোনার বি ডি ও অফিসের দপ্তর সব্বাই সব কিছুই জানে কিন্তু চুপ।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখুন, চল্লিশ বছর ধরে ,কি
লেখাপড়া হচ্ছে। ক্লাস ফোরের ছেলে রিডিং রাইটিং,ইংরেজি,গণিত, পারে না। এমনকি নিজের নামও
লিখতে পারে না। ছাত্রছাত্রীরাও সবই জেনে বুঝে চুপ মেরে বসে আছে। এই না পারার পিছনে,
শুধু ফাঁকিবাজিই একমাত্র কারণ নয়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের যোগ্যতা নিয়েও,
সংশয় আছে। আর একটি বড়ো কারণ হচ্ছে গিয়ে, আদত্‌ সে মজবুর, অনীহা ,আলস্য, পুরাতন বহুদিনকার অভ্যাস। এই ভয়ংকর সেকশানটা , এই
শ্রেণীটা, সৎ শিক্ষক শিক্ষিকাকে দলভুক্ত করার জন্য, ওদের মত বানিয়ে নেওয়ার জন্য, তাঁর উপরে টর্চার, অত্যাচার, পাগল করে ফেলার চক্রান্ত চালায়, একঘরে করে রাখার বন্দোবস্ত করে। এমনকি রাস্তায় লোক লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা বলছি, গত চল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকেই। এই ছাত্রছাত্রীদের না পারার কারণের মধ্যে যোগ্যতাও আছে। অঙ্ক ইংরেজি জানেনা পারেনা, অনেক শিক্ষিক শিক্ষিকা আছে । আর একটি কারণ হলো গিয়ে অনীহা, আলস্য, ফাঁকিবাজি। টিচার ইনচার্জ,প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারাই, নানা ধরনের নানা রকমের সুযোগ সুবিধা
দিয়ে দিয়ে, সহকারী শিক্ষক
শিক্ষিকাদের ফাঁকিবাজে পরিণত ক‍রে। তবেই না মাখন খেতে সুবিধা হবে, কেউ প্রতিবাদ করার থাকবে না। প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, টিচার ইনচার্জ হচ্ছে গিয়ে, প্রশাসনের অঙ্গ। সেই নির্দিষ্ট স্কুলটির প্রশাসকও।সেই স্বয়ং বাবুরাই যদি , চোর হয়, ফাঁকিবাজ হয়,চরিত্রহীন হয়,কামানেওয়ালা
হয় , স্কুল চলবে? শিক্ষক শিক্ষিকাদের লটপটানির,পা পিছলানির খবর, খবরের কাগজে গাদাগাদা প্রচুর বেরিয়েছে, পেপার কাটিং কেউ রেখেছেন নাকি? শুধুমাত্র যোগ্যতায়ই বড়ো কথা নয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড়ো কথা হলো গিয়ে সততা।সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই 
হোক আর পূঁজীবাদী শাসন
ব্যবস্থাই হোক,সততার প্রশ্নটাই সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন পরিকাঠামো কি, খুবই মন্দ নাকি ? যে তাদের দুর্নীতির সাথে যুক্ত হতে হবে? কিন্তু,
লাভের লোভের সিস্টেমে চুরি দূর্নীতি ঘুষখোরি চিটিংবাজি মিথ্যাচার ফাঁকিবাজি চরিত্রহীনতা ইত্যাদি ইত্যাদি ঘৃণ্য রোগ ব্যধি থেকে তবে কি কোনো দিনই মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়? কোনো দিনই কি সম্ভব হয়ে উঠবে না, আমাদের সুন্দর একটা মানব সমাজ দেখার স্বপ্ন কি তবে মিথ্যা হয়ে যাবে ?! লোভ, সবসময়ই কামিয়ে নেবার জন্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
" আয় আয়, নীতিফিতি ছাড়, কামিয়ে নে, বিশাল বাড়ি কর, 
গাড়ি কেনো, মৌজমস্তি করো"
ইত্যাদি ইত্যাদি প্রকারের ইশারা হাতছানি চলছেই অবিরাম অবিরত। আমরা কি তবে শেষ হয়ে যাব? 
সততাহীন,মানবিকতাহীন কোনো দেশই চলতে পারে না।
তাসের দেশ হতে পারে না, বালির ঘর হয়না , যে কোনো সময়, যে কোনো মুহূর্তে,
হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে পড়বেই পড়বে , একদিন না একদিন। একমাত্র সমাজতান্ত্রিক সমাজ 
ব্যবস্থায়-ই এই সমস্ত ক্লেদ গ্লানিময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে , এবং ঐ ব্যবস্থাতেই একমাত্র সমগ্ৰ মানব জাতির মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু, সাধারণ মানুষকে সমাজ সচেতন হতে হবে। সংগঠিত ভাবে , দিশাবদ্ধ পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে, এবং , তা অবশ্যই সমগ্ৰ মানব জাতির মুক্তির কথা ভেবেই। আরও একটা বিষয় ভেবে দেখার জন্য রাখছি, হেড্ টিচার আর সহকারী শিক্ষকদের জুড়ে নিয়ে কখনও শিক্ষক সংগঠন হতেই পারে না। হেড টিচার,আর, টিচার ইনচার্জরা তো, প্রসাশনের অঙ্গ। ওদের দুর্নীতিকে ঢাকা দেয় এবং বাঁচায় আবার বিদ্যালয় পরিদর্শক। হেড টিচার, টিচার ইনচার্জ মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতায় বড়ো বড়ো কথা বলবে,আর বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিজের
কুক্ষিগত দলদাস দালালদের নিয়ে কমিটি করবে, বাৎসরিক খেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য,এ তো অন্ধ স্তাবকে পরিণত ক‌রার জন্যই প্রকৌশল মাত্র। খেলার মাঠে কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের নাম চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে
ডাকবো, এসমস্ত কেউ কিছুই
বোঝেনা না? বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার হিসেব পর্যন্ত দেওয়া হয় না। অথচ, শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে চাঁদাও নেওয়া হয়। গত চল্লিশ বছর ধরে এই সমস্ত নোংরা কীর্তিকাণ্ড দেখছি। কেউ নেই তড়িঘড়ি তৎক্ষণাৎ একে ম্যাজিক খেলার মতো , ছুক কালী মন্তর্‌ওয়ালি বলে ঠিক করে ফেলতে পারে। এখানে তাবিজ মাদুলিতেও কিস্‌সু হবার নেই। এরই নাম, রাষ্ট্রযন্ত্র। এরই নাম সিস্টেম। নতুন সিস্টেমের ব্যবস্থা বন্দোবস্ত না করার ফলশ্রুতিতে, এই পুরাতন নড়বড়ে ব্যবস্থাটা টিকে আছে। তবুও, অন্ততপক্ষে সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক ফিটফাট্ চলছে দেখার ইচ্ছেটা, আর,
আমাদের বাচ্চাগুলো মানুষ হোক, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক, এটা আশা করা কি খুবই অন্যায় হবে ? দেখভালের দপ্তরগুলো ফাংশন করছে না কেন! কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না কেন? তাহলে অযথা এত খরচ করে সাদা হাতী পোষার দরকারই বা, কেন? হচ্ছে না যদি, তাহলে কি ভাবে ঠিক হতে পারে, তা তো তাহলে, আমাদেরই ভাবতে হবে, নইলে তো, প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন , এ সমস্ত শব্দগুলো অভিধান থেকে মুছে যাবে! আমরা কি তবে,
বন্য হয়ে যাব নাকি! সরকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতনটা কিন্তু কম নয়। একটুখানি বলুনতো আশা করা অন্যায়? আসলে কারণটা হলো গিয়ে, আমরা যে শিক্ষক। স্কুল ছুটির আগেই স্কুল ছুটি দিয়ে,ষ্টেশনে বাসষ্ট্যান্ডের চায়ের দোকানে বাম ডান উভয় শিক্ষকদেরই সম্মেলন করা, আড্ডাবাজি করা, এসব কি, শোভা পায়? তখন ঘড়িতে কটা বাজে!সারা রাজ্য জুড়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একই রঙের স্কুল ড্রেস হওয়া উচিত। সারা রাজ্যজুড়েই সরকারী শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও, একই রঙের পোশাক হওয়া উচিত।
স্কুল পরিচালন কমিটি বছরে
বছরে বদলানো উচিত।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে
প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের,‌
পরিকাঠামো তৈরী করে,তিন 
বছর অন্তর অন্তর‌ রুটিন
ট্রান্সফার চালু করা উচিত। 
পূর্বেও সারা দেশেই বহু শিক্ষা
কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু প্রকল্প গঠন করে কাঁড়ি
কাঁড়ি টাকা ঢালা হয়েছে, কিন্তু
সবই বৃথা হয়েছে। সব টাকাটাই, জমা হয়েছে গিয়ে লাভের লোভের বাজারে গিয়ে। পরিকল্পিত সংগঠিত প্রতিবাদ, এবং সার্বিকভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন ছাড়া, বাঁচার পথ নেই। আসুন , আলাপ আলোচনার সূত্রপাত বা সূচনা করি। নইলে, আমাদের ছেলেপুলেরা কি বলবে বলুনতো! ফুল বাগানের ফুলমালী, এবং, বনের গাছ রক্ষনাবেক্ষন করার, বনমালী, আর, বাটুল দ্যা গ্রেট কার্টুনিস্ট যত্‌তো সব, এবং, জয়দেব মেলার খিচুড়িমারা,আর, রুনুঝুনু খঞ্জনী বাজানো শিক্ষক শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, টিচার ইনচার্জরা কোনো দিনই সমাজের কথা, সার্বিক পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারে না ,এবং ,যারা নিজেরাই নিজের কাছে সৎ নয়, তাদের কাছে আশা করা ব্যর্থতা ছাড়া, আর কিছুই হতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত ভাবে,আমি আতঙ্কিত। আবার এটাও সত্য, এভাবে আর কতদিন! এভাবে চলতে পারে না। পথ নির্মাণের সমস্যায় ভারত। তবে কি, " সমাজতন্ত্র " সাম্যবাদ " " মানবতা " 
"প্রেম " "ভালবাসা " 
" দয়া মায়া মমতা" এই শব্দগুলো হারিয়ে যাবে!
বিলুপ্ত হবে। পুরোনো কদর্য
তপন কিরণ, সে তো ক্লান্তিকর! প্রতি প্রত্যুষের জাগরণে দেখি, নীল আকাশটাও সুনীল সুশীল নয়, কোথায় সেই, ভোরের পাখির কূজন, কলকাকলিতে
ভরা সকাল। কোথায় সেই, ক্রোধিত ক্রোধান্বিত সমুদ্র কল্লোল ধ্বনি। মনে হচ্ছে, এভাবেই শেষ হয়ে যাবো বুঝি! আর, দাঁড়াচ্ছে না।আর
হচ্ছে না, সবাই চলে যাচ্ছে...
পাশ কাটিয়ে । মানুষের সমাজ জীবনটা, কেমন যেন, এক রঙা হয়ে যাচ্ছে ; দিনকে দিন; যতোই হাঁটছি ; দেখছি ; মনে হচ্ছে, আলো ; কেমন যেন ক্ষীণ হয়ে আসছে, আ...... হা......রে, তবে কি সব অন্ধকার হয়ে যাবে! ? নেতৃত্ব হীনতায়, দিশাহীনতায় আমার দেশ ভারত। পরিপ্রশ্ন , অনুসন্ধান, অন্বেষা, অনুসন্ধিৎসা , তালাশ খোঁজ মানুষের মনে জাগিয়ে তোলার 
ব্যবস্থা না করলে, মনুষ্য সমাজের মুক্তি নেই।
             
কষ্টার্জিত প্রতিবেদন।
                অমিতাভ দত্ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ