বুঝবে সে'দিন/মনোজ কুমার রথ

বুঝবে সে'দিন 

       মনোজ কুমার রথ✍✍
___________///___________///____________
   
 শ্রমিক আমি শ্রমটা বেচি,
   দামটা কি দাও উচিত মতো;
   পাওনা কি পাই সঠিক ভাবে,
   খাটি আমি খাটাও যত? 

   রোদ্রে পোড়া বৃষ্টি ভেজা,
   মজদুর মুটে শ্রমজীবী; 
   আগুনে পুড়ে হই যে খাঁটি,
   তোমরা মালিক পরজীবি।
   
   সওদা করা গতর আমার,
   মাসকাবারি তোমার দোকান;
   দিনমজুরি কিংবা আরোও,
   জমির মালিক নয়তো মকান। 

   কাস্তে কোদাল গাঁইতি শাবল, 
   বেলচা কুড়ুল আর হাঁতুড়ি;
   রোদ্রে শরীর সেদ্ধ করাও,
   আয়েশ করেই খাও পাতুরি! 

   কচি হাতে কড়া পড়ে,
   কিংবা ছ্যাকা গরম গ্লাসের;
   মাইনের বেলায় লবডঙ্কা,
   কয়'টা কাগজ সারা মাসের! 

   জলের দামে শ্রমটা কেনো,
   আমরাও বেচি ঠেলার জ্বালায়;
   এমনই কি আর স্বদেশ ছেড়ে,
   মেধার পাখি বিদেশ পালায়? 

   আটটা থেকে আটটা বুঝি, 
   আটটি ঘন্টা পুরোই হয়;   
   সাতটা পাঁচটা ডিউটিটাকে, 
   আট ঘন্টা ক্যামনে যে ক'য়?  

   গতর আমার রতন সোনা,
   শরীর বেচি রূপের হাটে; 
   বাবু তোমার অন্ধকারেই,
   আমার সাথে রাতটা কাটে।

   তখন শরীর অনেক দামী,
   যদিও ফুলি সুদূর লাটের; 
   রজনীগন্ধা অন্ধগলির, 
   কিংবা গোলাপ গোপন খাটের!  

   সভ্যতাটা সচল আজোও,
   ইতর লোকের রক্তে ঘামে; 
   নইলে চাকা থমকে যেত, 
   দেখতে কেমন আঁধার নামে।  

   শাষক তোমরা শোষক তোমরা,
   তোমরা মালিক সুবিধাভোগী; 
   কখনও আমরাও পরিযায়ী,
   ভিখ্ না পেলে গেঁয়ো যোগী। 

   গুলির মুখে বুকটা পেতে,
   এসেছে যে মহান দিবস; 
   মালিক তুমি শোষক আজোও,
   অষ্টাধিকেই করেছো বশ। 

   রক্ত যে'দিন ফুটবে আবার,
   বুঝবে সে'দিন বুঝবে তো ঠিক;
   জলের দামে ঘামটা কেনো,
   বলবে শ্রমিক ধিক্ শতধিক্। 

   মুখের উপর বলবে সে''দিন,
   উচিত দামেই বেচবো তো শ্রম;
   আমি শক্তি আমিই চালক,
   আমিই মানুষ সর্বোত্তম। 

           
         

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ