স্বার্থের সভ্যতা/পার্থদীপ সমাজদার

স্বার্থের সভ্যতা
পার্থদীপ সমাজদার
মানুষের নির্মম স্বার্থের অত্যাচারে
প্রকৃতি পরিবর্তনশীল নিজ অধিকারে,
দেখ জৈষ্ঠের এই অন্তিম ক্ষণে
কুয়াশা ঢেকে আছে দিগন্তে;
কোথাও বন্যা কোথাও ঝড়ে
কোথাও পঙ্গপালে আঘাত করে
প্রকৃতির পঞ্চগুণের পঞ্চ ত্বত্ত্বে
গুণাগুণ কেমনে রক্ষা করে৷
ইতিহাস বলে, যুগে যুগে যত বার
প্রকৃতিকে মানুষ করেছে অধিকার-
নিজ স্বার্থ লালসার আকাঙ্খায়
প্রকৃতি নিয়েছে প্রতিশোধ তার;
কখনও অহংকারে ভরে ক্ষোভ
কোখনও বা মহামারীতে করে ভোগ;
কোখনও ভূ-কম্পনে বা গড়ে সুনামী
জল স্থল করেছে বিধ্বস্ত গুণমণি৷
আজ যেন প্রকৃতির রোশানলে দগ্ধ
এই সুজলা সুফলা ধরণী,
বনের পশুরা যদিও বা বোঝে
প্রকৃতির রূপ রস গঠনী,,,
মানুষ বুঝেও বোঝে না
শুধু বোঝে স্বার্থের দালালী;
বাস্তুতন্ত্রে আঘাত করে
আপনি সয় আপন জ্বলনই৷
মানুষের গড়া সভ্যতার ইতিহাস
মানুষ করেছে ধ্বংস বারবার,
শুধু স্বার্থ আর অহংকারে
হয়ে উন্মত্ত লোভ ক্ষমতার;
নিজ হাতে নিজের সৃজন
করেছে বিনষ্ট সব মানবতার,
তারই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া পরে
প্রকৃতি গড়ে নিজেকে আপন করে৷
এতো সৃষ্টির মূল নিয়ম বিধান
ঘটনার প্রতি ঘটনা রবে চীরকাল,
জনম যার আছে দেখ চেয়ে
ধ্বংস তার হবে কোন এক পল;
প্রকৃতির এই খেলা ঘরে বন্ধু
খোদার উপর মানুষ খোদ্দারি করে,
মানুষ ভেঙেছে গড়েছে আপনারে
সৃষ্টির উপর রেখে আপনারে৷
ঐ চেয়ে দেখ আকাশে বাতাসে
প্রকৃতির রণ-রঙ্গিনী রূপ ভূস্তরে,
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোমে
পালা বদলের গান করে;
যা কিছু দেখি চোখের তারায়
পঞ্চ ভূতে সব গড়েছে হায়,
তবু অহংকার মদে মত্ত হয়ে
মানুষ দেখো নিজ ধ্বংস সাজায়৷ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ