লকডাউনে বাবাকে রোগী সাজিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে বিয়ে করতে গেল যুবক

লকডাউনে বাবাকে রোগী সাজিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে বিয়ে করতে গেল যুবক
 আগেই স্থির হয়েছিল বিয়ের দিনক্ষণ। প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধল লকডাউন। তার জেরে বিয়ে হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় টানাপোড়েন। কিন্তু পাত্র বিয়ে করতে মরিয়া। তাই ভাড়া করল আ্যম্বুলেন্স বাবাকে রোগী সাজিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি পাড়ি দেয় সে। গুণধর ওই যুবক পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিয়েও সেরে ফেলে। যদিও পরে প্রতিবেশীদের তৎপরতায় পুলিশ খবর পায়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশের চোখে ধুলো দিলেও বিয়ের ব্যাপারটি প্রতিবেশীদের কাছে ঢাকা দিতে পারেনি যুবক। একেই খাতৌলি করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত। তার উপর আবার দিল্লি থেকে তরুণীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে যুবক। তাই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা এলাকার প্রায় সকলেই। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগেও অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লকডাউনের মাঝে দিল্লি পাড়ির চেষ্টা করেছিল ওই যুবক। তবে সেবার তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এবার বিয়ে হল ঠিকই। তবে আইনের হাতে ধরা পড়ল যুবক। প্রতিবেশীরা পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানায়। পুলিশ খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা ওই যুবকের পরিবারের সকলের এবং নববধূর পরীক্ষা করানোর জন্য পাঠায়। এখনও কারও রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছয়নি। পুলিশ ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে।  ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ওই যুবক খাতৌলির বাসিন্দা দিল্লির এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল তার। লকডাউনের মাঝে সকলেই ভেবেছিলেন বিয়ে বাতিল করবেন। কিন্তু পাত্র ফেঁদে বসল অন্য পরিকল্পনা। সে ভাড়া করল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। রোগী সাজিয়ে বাবাকে তুলে নিল সেই অ্যাম্বুল্যান্সে। লকডাউন অগ্রাহ্য করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি পৌঁছয় সে। চার হাত এক হয় তাদের। তারপর ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে বাবা এবং নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ