নৈরাশ্যের স্বরলিপি // কবি ঋক তান




মনের আর্দ্র আকাঙ্খায় 
অনায়েসেই পেতে চাই 
ডুবে যাবার জলের  সন্ধান,
পৃষ্ঠ  করতে চাই তোমার ওষ্ঠ,জিহবা ক্রমাগত,
 কৃষ্ণগহ্বরে সংকীর্ণ পিছলানো পথে  শেষ হবে 
পরম্পরা ।
যেখানে কেবলই  তোমার বেরিয়ে আসে গোপনতম  ঘন কষ থর থর অন্ধকার অনন্ত পথ ধরে।
ফিরে আসি   পরিশ্রুত যৌবন উপত্যকায়,
নগ্ন করো সমস্ত অরন্য,
পাগলের মতো ধ্বংস করে 
নিতে চাই শরীরের সব রস,
তবুও লাভামুখে তুমি কাতর,
যে উত্তাপে ধ্বংস  হতে চায় আমার সমস্ত তীব্র অপেক্ষl।
সমস্ত রাত জুড়ে সুগন্ধে ভুলে যেতে চাই সব বিষাদ-
  নীল চোখে স্বপ্ন কিনারে এক টুকরো ফসফরাসে সব অন্ধকার মুছে দিতে চাই ।
নিদ্রা হীন রাতে ছায়ার মতন এঁকে বেঁকে অনেকটা কাঙ্ক্ষিত বুকের ভিতর হাত বাড়ানো সুখের  মধ্যে খুঁজে নেবো অতীত।
তৃষ্ণার  পেয়ালায় আমি কাঙ্খিত চুমুক দিয়ে বলি,
ভালোবাসা আছে বলেই এর নাম জীবন, 
ভালোবাসা ফুরোলেই  ওটা মরন।
বেহিসাবির  মতো তোমার বুকে চঞ্চল হয়ে থাকতে চাই।
তুমি টা -রঙিন স্বপ্ন গুলো নিয়ে তলিয়ে  যাবো তোমার মধ্যে প্রতিটি মুহূর্ত ধরে ,
 জড়িয়ে ধরে রাখতে চাই
 আমার গন্ধবিহীন চন্দন বুকে।
বেহিসাবি রমণীর মতো দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠবে রমনের খেলায় পরিশ্রুত যৌবনে।
এবং এটাই  চরম সত্য 
 তাই মৈথুন   শেষে বিশুদ্ধ আবেক   ছাড়া জগৎ  অর্থহীন। 
নইলে দিশাহীন চোখে শূন্যতার একটা দীর্ঘশ্বাস থেকে যাবে।
যদি তুমি চাও 
ইতিহাস নতুন করে রচিত হবে  
সময়ের স্মরণিকlর  জাদুঘরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ