আয় মা শ্যামা

 আয় মা শ্যামা
  নীতা কবি


দূর্গা গেলো, লক্ষ্মী গেলো ,এলো কালো মেয়ে
কালো রূপের অন্তরালে আলোররাশি নিয়ে
গেরস্থ ঘর আলো জ্বালো গো,আলো জ্বালো সব মনে
দশের জন্য আলো জ্বালো এই আলোর শুভক্ষণে।

আয় মা শ্যামা


কালী-মা যে কভু কমলা, কভু মা শারদা
উগ্ৰচণ্ডা প্রচণ্ডা যে ,কভু বা বরদা

রামপ্রসাদের বেড়ার ধারের ছোট্ট মেয়ে শ‍্যামা
কে এলি গো,কালী এলি?না কি এলি উমা?

অসুর মুণ্ড কেটে দেবী ,হলেন মুণ্ডমালী
দূর্গা মাতা ক্ষেপে গিয়ে রূপ ধরলেন কালী
কালো রূপে জগৎ আলো,সব রূপেরই আধার
সব দেবতার শক্তি নিয়ে মাতা হলেন সবার।

আমার দেশের অসুররা সব মহান ,মহান রূপে
দেশটা ধ্বংস করছে তারা, ফেলছে অন্ধকূপে
মা গো মুণ্ডমালী আমার, মা গো সুরেশ্বরী
অসুর মুক্ত করো সমাজ, তোমার চরণ ধরি।

মনের মাঝে আঁধার ঘনায়,আঁধার ঘরের কোণের
সকল আঁধার ঘুচাও মাগো, আঁধার সকল মনের।

অলক্ষ্মী সব দূরে গিয়ে লক্ষ্মী আসুক ঘরে
আলোয় ভরুক পৃথিবীটা মা গো তোমার বরে।

ক্ষ্যাপা-কালী মুণ্ডমালী নাচেন শ্মশান-মাঝে
জগৎ-মাতার এরূপ দশা সবার বুকেই বাজে।

বাবা ভোলানাথ ভীত হলেন মায়ের রোষানলে
মা'কে শান্ত করবেন বলে পড়লেন ভূমিতলে
দেখালেন সব মর্ত‍্যজনে, চোখ খুললেন সবার
নারীশক্তি কম নয় কো, মহাশক্তির আধার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ