সেলিব্রিটি রানু মণ্ডলের অনাহারে দিন কাটছে

রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল।
 রানাঘাট প্ল্যাটফর্ম থেকে হঠাৎ করেই চলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়ায়। বলিউডের ছবিতে গানও গেয়েছিলেন। কিন্তু পুরনো জায়গায় ফিরে আসতে বেশি সময় লাগলোনা রানুর । আগে যেমন কোনরকমে খাবার খেয়ে দিন কাটাতেন। এখনো সেই একই অবস্থা। ফের অভাবে দিন কাটাচ্ছেন রানাঘাটের রানু মন্ডল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এখন রোজ দুবেলা পেট ভরে খেতেই রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রানু মন্ডলকে। বলা ভালো আগের মতোই অনাহারে দিন কাটছে তাঁর। মাঝেমধ্যে চিঁড়ে মুড়ি খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। পাড়া-প্রতিবেশী যদি মাঝেমধ্যে চাল ডাল দেন তাহলে কোন কোন দিন চলে যায়। কিন্তু না খেয়ে গোটা দিনও থেকেছেন রানু মন্ডল। করোনার আবহে সেভাবে কেউ খোঁজ নিতে আসে না হঠাৎ করে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া রানুর।

রাতারাতি যেমন সেলিব্রিটি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। আবার খুব তাড়াতাড়ি যেন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে মুছে গিয়েছে রানু মন্ডলের নাম। তাই আবার সেই রানাঘাটের প্ল্যাটফর্মের কাছে নিজের ছোট্ট ঘরে প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন রানু মন্ডল। তবে লকডাউনের প্রথমদিকে নিজের এলাকার দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রানাঘাটের রানুদি। একেবারে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অন্নসংস্থান করেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এখন নিজেই আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর অগাস্ট মাসে রানুর একটি গান রাতারাতি ভাইরাল হয়। দেখা যায়, রাণাঘাট স্টেশনে ভিখারিনীর বেশে বসে গান গাইছেন রানু। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকেই তাঁকে লতাকণ্ঠীর তকমাও দেন। রাতারাতি ভাইরাল হয়েই সোজা মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন রানু।

সেখানেই হিমেশ রেশমিয়ার নজরে পড়ে যান রাণাঘাটের সেই প্রৌঢ়া। হিমেশ তাঁর ছবি হ্যাপি হার্ড অ্যান্ড হীর ছবিতে একটি গান গাওয়ার প্রস্তাব দেন রানু মণ্ডলকে। হিমেশের সুরে রানুর গলায় তেরি মেরি কাহানি গানটির এক লাইন শুনেই মুগ্ধ হয়েছিলেন নেটিজেনরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ