মদের দোকান বন্ধের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সরকারি চিকিৎসক-সংগঠনের

মদের দোকান বন্ধের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সরকারি চিকিৎসক-সংগঠনের

মদ্য পান কোরোনা ভাইরাস দমনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক খুবই প্রয়োজন এমনটাই মনে করছে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ৷ তাই অবিলম্বেই মদের দোকানগুলি বন্ধ করা হোক ৷ এই দাবি জানিয়ে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে ।
লকডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । এবার রাজ্যে সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন দাবি করল , কোরোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারকে মদের দোকান পুনরায় বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে । আজ এই দাবি জানিয়ে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে ।

দেশজুড়ে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে । এই অবস্থায় লকডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার । এদিকে, মদের দোকান খোলা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে । বিতর্ক দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে । অনেকেই দাবি করছেন , যাঁরা মদ কিনতে পারছেন , তাঁদের জন্য যেন সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা না করা হয় ৷ অনেকে দাবি করছেন, বন্ধ করে দেওয়া হোক মদের দোকান । এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশ আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন।
এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন , "আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যজুড়ে যখন কোরোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে , তখন লকডাউন চলা সত্ত্বেও মদের দোকান খোলার অনুমতি দিল সরকার । এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয়, কোরোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন । এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ ৷ ফলে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন ৷ অসংখ্য মানুষ বিনা চিকিৎসায় ও অনাহারে মারা যাচ্ছেন । এই রকম সময়ে সরকার মদের দোকান খুলে দিয়ে মানুষের এই ভোগান্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করছে । আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে আজ আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি ।"
 সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে , মদের দোকান খোলায় ইতিমধ্যেই সংলগ্ন এলাকায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে । যার ফলে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে । এর জন্য কোরোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট হচ্ছে । এছাড়া , মদ্যপানের ফলে নানা অসামাজিক কাজ বেড়ে যায় বলে দাবি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের ৷ এটা কোরোনা সংক্রমণ দমনের পরিবেশকে নষ্ট করবে । মদ্যপানের ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি বেড়ে যায় ৷ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ৷ এর ফলে কোরানায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । কোরোনা ভাইরাস দমনের ক্ষেত্রে এটা প্রতিবন্ধক পরিবেশ তৈরি করবে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ